ক্রাইম রিপোর্টার : বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে বাধা প্রদান ও অবৈধ উপায়ে নিয়োগ পাওয়ার অভিযোগে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) ৫ শিক্ষক, ৬ কর্মকর্তা ও ১ জন কর্মচারীর বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) দুপুরে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ ও তথ্য শাখার সেকশন অফিসার (গ্রেড-১) শাহেদুজ্জামান শেখ বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেছেন।কুয়েটের মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রফেসর ড. মিহির রঞ্জন হালদার, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর, পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর ড. শিবেন্দ্র শেখর শিকদার, মেকানিক্যাল বিভাগের প্রফেসর ড. সোবহান মিয়া এবং কম্পিউটার সায়েন্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রফেসর ড. পিন্টু চন্দ্র শীলকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।তাদের বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে বাধা প্রদান, বিভিন্ন সময়ে সাধারণ ছাত্র-শিক্ষক নির্যাতনে প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত, সক্রিয়ভাবে রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তারের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগ এবং খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন’ ২০০৩ এর ৪৪ (৫) ধারা ভঙ্গের অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় গত ২১/১১/২০২৪ইং তারিখে অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯৪তম সিন্ডিকেট সভায় গৃহীত মোতাবেক তাদের সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আরও ৬ জন কর্মকর্তা ও ১ জন কর্মচারীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন অবৈধ উপায়ে নিয়োগ পাওয়ার অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণ হওয়ায় তাদের সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা হলেন ডেপুটি রেজিস্ট্রার নিমাই চন্দ্র মিস্ত্রী, ডেপুটি রেজিস্ট্রার দেবাশীষ মন্ডল, সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ ও তথ্য শাখা) মনোজ কুমার মজুমদার, সহকারী কম্পট্রোলার জি.এম. আবু সাঈদ, সহকারী প্রোগ্রামার মো. ওমর ফারুক, সহকারী টেকনিক্যাল অফিসার মো. মেহেদী হাসান রাজন, অফিস সহায়ক সত্যজিত কুমার দত্ত।