কাগজ রিপোর্ট।।অবশেষে খুলনা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির কমিটি বিলুপ্ত করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে খুলনার বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি লিখিতভাবে পরিচালনা পরিষদ বিলুপ্ত ঘোষণা ও ক্ষমতা হস্তান্তর করেন।বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চেম্বারের একাধিক পরিচালক ও সচিব। এ ঘটনায় খুলনার সাধারণ ব্যবসায়ীদের মধ্যে স্বস্তি ফিরেছে।জানা যায়, চেম্বারের বর্তমান সভাপতি কাজী আমিনুল হক ২০১০ সাল থেকে চেম্বারের সভাপতি পদে রয়েছেন। গত ৫ আগস্টের পর থেকে তিনি দেশছাড়া রয়েছেন। চেম্বারের সভাপতির পাশাপাশি তিনি মহানগর আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি।এছাড়া চেম্বারের সহ-সভাপতি পদে রয়েছেন সোনাডাঙ্গা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বুলু বিশ্বাস।পরিচালক পদে রয়েছেন কেসিসির কাউন্সিলর এবং মহানগর আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক জেড এ মাহমুদ ডন।বৈষম্য বিরোধী শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে সারা দেশের ন্যায় খুলনা চেম্বার স্বৈরাচারমুক্ত করার দাবিতে মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে চেম্বার ভবনের সচিবের কক্ষের সামনে অবস্থান নেয়। শিক্ষার্থীরা কাজী আমিন, বুলু বিশ্বাস, কাউন্সিলর ডনসহ সব স্বৈরাচারীদের পদত্যাগ করে কমিটি বিলুপ্তি করার দাবি জানান।এরপর চেম্বারের ভারপ্রাপ্ত সভাপতিসহ একাধিক পরিচালক ঘটনাস্থলে আসার পর শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে তারা পরিচালনা পর্ষদ বিলুপ্ত করে সচিবের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করেন।এ সময় উপস্থিত ছিলেন- চেম্বারের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শরীফ আতিয়ার রহমান, পরিচালক কাজী মাসুদ ইসলাম, এমএ মতিন পান্না, বৈষম্য বিরোধী শিক্ষার্থী রুমি রহমান, নাজমুল হোসেন ইমরান প্রমুখ।এদিকে চেম্বারের বর্তমান পরিষদের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে ২০২৫ সালের ২০ এপ্রিল। কমিটিতে পরিচালক পদে ছিল মহানগর আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার সম্পাদক মফিদুল ইসলাম টুটুল, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকসহ একাধিক আওয়ামী লীগের নেতা।চেম্বারের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শরীফ আতিয়ার রহমান জানান, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে পরিচালনা পর্ষদ বিলুপ্ত করে বর্তমান সচিবকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এই প্রক্রিয়াটি সঠিক নয়।কারণ এটা বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে করতে হবে। তারপরও শিক্ষার্থীদের দাবিতে এটা করা হয়েছে।পরবর্তীতে একজন প্রশাসক নিয়োগের মাধ্যমে চেম্বারের নির্বাচন করা হবে।চেম্বারের সচিব নূর রুকসানা বানু বলেন, ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এবং একাধিক পরিচালক চেম্বারের পরিচালনা পর্ষদ বিলুপ্ত করে আমাকে দায়িত্ব দিয়েছে।নতুন করে প্রশাসক নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত আমি দায়িত্বে থাকব।