বিবেকানন্দ ঢালী : খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পরিবহন শ্রমিকদের সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে টার্মিনাল এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।ভোরে কিছু বাস বিভিন্ন রুটে ছেড়ে গেছে। মারধরের সঙ্গে জড়িত পরিবহনশ্রমিকদের সকাল ১০টার মধ্যে গ্রেপ্তার না করলে ফের বাস টার্মিনাল অবরোধের ঘোষণা দিয়েছে ছাত্ররা।খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক মো. মুহিবুল্লাহ বলেন, গোপালগঞ্জ থেকে রাজীব পরিবহনের একটি বাসে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী খুলনায় আসছিলেন। ভাড়া নিয়ে আসন না দেওয়া নিয়ে কথা–কাটাকাটির জেরে ওই শিক্ষার্থীকে লাঞ্ছিত করেন বাসশ্রমিকেরা। বিষয়টি জানতে পেরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থী সোনাডাঙ্গায় অবস্থিত বাস টার্মিনালে গিয়ে বাসশ্রমিকদের মারধরের কারণ জিজ্ঞাসা করেন।এ সময় পরিবহনশ্রমিকেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালান।এতে ১৭ জন শিক্ষার্থী আহত হন।এ সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী সোনাডাঙ্গা বাস টার্মিনাল এলাকায় যান।এক পর্যায়ে তারা শ্রমিকদের ধাওয়া দেন। দুই পক্ষের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় পুরো এলাকায় আতংক ছড়িয়ে পড়ে।খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রবিষয়ক পরিচালক অধ্যাপক নাজমুস সাদাত বলেন, শ্রমিকদের হামলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তত ১৫ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বৃষ্টির মতো ইটপাটকেল ছোড়া হয়েছে। শিক্ষার্থীদের মারধরের ঘটনায় বৃহস্পতিবার মামলা করা হবে।সোনাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম বলেন, রাজীব পরিবহনে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ছাত্র খুলনায় আসছিলেন। তাঁকে পরিবহনের সদস্যরা আসতে দেননি। পরে তাঁকে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে না নামিয়ে টার্মিনালে নিয়ে গিয়ে মারধর করেন—এমন সংবাদের ভিত্তিতে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা তাঁকে ছাড়িয়ে নিতে টার্মিনালে গেলে উভয় পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে শিক্ষার্থীরা টার্মিনাল মোড় অবরোধ করে রাখেন। রাত পৌনে নয়টার দিকে শিক্ষার্থীরা অবরোধ প্রত্যাহার করে ক্যাম্পাসে ফিরে গেছেন।