শেখ হাসিনা পরিবারকে বিদেশে নিরাপদে রেখে নিজে দেশ ছেড়ে ভারত পালিয়ে যায় গত ৫ আগস্ট। এ সংবাদ প্রকাশের পর দেশ ছেড়েছেন নেতাকর্মী। কেউ পালানোর চেষ্টা করলেও শেষ মুহূর্তে পারেনি। রয়েছেন আত্মগোপনে।
‘তোদের নেত্রী পালিয়ে গেছে, তুই সরে যা এখনই’, সোমবার বিকেলে তার মোবাইলে এক বন্ধু এভাবেই সাবধান করে দিয়েছিল নারায়ণগঞ্জের আড়াই হাজার এলাকার বাসিন্দা এক স্থানীয় ছাত্রলীগ নেতাকে।
তিনি তখন বাড়ি থেকে সামান্য দূরে বাজারে গিয়েছিলেন। তার জানা ছিল না যে তাদের নেত্রী, শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে গেছেন।
নাম প্রকাশ না করতে চাওয়া ওই ছাত্রলীগ নেতার মতো আরও অনেক আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীই ভারতে চলে এসেছেন বা আসার চেষ্টা করছেন। এমন অনেক আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেছে বিবিসি বাংলা।
দেশে থাকা আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে কথা বললে তারা জানান- শেখ হাসিনা বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে গেছেন নিজের প্রাণ সংশয় হতে পারে এই ভেবে। কিন্তু তিনি এটা ভাবলেন না যে এরপরে হাজার হাজার নেতাকর্মীর কী হবে।
তারা বলেন, আমাদের পাসপোর্ট-ভিসা আছে কী না, আমাদের ওপরে হামলা হলে কী ভাবে বাঁচব, সে কথা তো ভাবা উচিত ছিল নেত্রীর।
ছাত্রলীগ নেতারা বলেন, একটু যদি আঁচ পেতাম যে কী হতে চলেছে সোমবার দুপুরের পরে, তাহলে এইভাবে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে থাকতে হত না। সময় থাকতেই ভারতে চলে যেতে পারতাম।